বার্তা সম্পাদক ( ভোরের আলো বিডি ) ঃ কিশোরগঞ্জের ভৈরবে সোহেল খন্দকার (৩৫) নামের এক অটোরিকশাচালককে হত্যার ঘটনায় চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়াও প্রত্যেককে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
বুধবার (৩ জুলাই) বিকেলে কিশোরগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক সকল আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জেলার ভৈরব উপজেলার বাঁশগাড়ী গ্রামের মৃত. আবু তাহের মিয়ার ছেলে মো. কাজল (৩৪), ভাটি কৃষ্ণনগর গ্রামের খোকা মিয়ার ছেলে মো. জুয়েল মিয়া (২৫), ছনহুরা গ্রামের মো. আবু মিয়ার ছেলে মো. রাব্বানী (২৬) ও একই এলকার মৃত আ. লতিফ মিয়ার ছেলে মো. লিটন মিয়া (২৬)।
এ রায়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন কিশোরগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসেকিউটর (পিপি) আবু নাসের মো. ফারুক।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২০ সনের ২২ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার অটোরিকশার চালক সোহেল খন্দকার দুপুরে তাঁর রিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। পর দিন ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের কালিকাপ্রসাদ এলকা থেকে তাঁর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ২৫ সেপ্টেম্বর নিহতের বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে ভৈরব থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পিবিআই মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায়। এরপর নিহত যুবকের হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোনের আইএমআই নম্বরের সূত্র ধরে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আদালতে নেওয়ার পর গ্রেপ্তারকৃতরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন। এতে আসামিরা বলেন, যাত্রীবেশে তাঁরা চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ও মোবাইল ছিনতাই করেন।
পরে গ্রেপ্তার চারজনকে অভিযুক্ত করে পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক মো. জামির হোসেন জিয়া ২০২১ সালের ২২ নভেম্বর আদালতে চুড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আজ বুধবার (৩ জুলাই) বিকেলে এই রায় ঘোষণা করেন।
Leave a Reply